রেনেসাঁ হলো পুনর্জাগরণ ও নতুন ভাবধারার যুগ

সভ্যতার অগ্রগতিতে রেনেসাঁ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। মানবসভ্যতাকে মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগে নিয়ে আসার পিছনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এ রেনেসাঁ। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগকে একটি নতুন চিন্তাধারা, নতুন ভাবধারা ও নতুন আবিস্কারের যুগ বলা হয়।

রেনেসাঁ হলো পুনর্জাগরণ ও নতুন ভাবধারার যুগ

রেনেসাঁ বা নবজাগরণ যার অর্থ বিপ্লব। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে সংঘটিত ইউরোপীয় ইতিহাসে মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগে পদার্পনের মধ্যবর্তী সময়। এটি মধ্যযুগের সংকটের পর সংঘটিত হয়ে ব্যাপক সামাজিক পরিবর্তন সাধিত করে। রেনেসাঁ মূলত শুরু হয় চতুর্দশ শতাব্দীতে এবং শেষ হয় সপ্তদশ শতাব্দীতে।

রেনেসাঁ হলো পুনর্জন্ম বা পুনর্জাগরণ


রেনেসাঁ ফরাসি শব্দ। এর অর্থ হলো পুনর্জন্ম বা পুনর্জাগরণ। ইউরাপে মধ্যযুগীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি শোচনীয় অবস্থায় পৌঁছায়। যার ফলে কুসংস্কার, অজ্ঞতা, বিবেকহীনতার সৃষ্টি হয় এবং স্বাধীন ও মুক্তচিন্তার দ্বার রুদ্ধ হয়। ফলে ব্যক্তি মানষিকতার বিকাশ ব্যাহত হয়। এ অবস্থা থেকে মুক্তি লাভের জন্যই রেনেসাঁর সূত্রপাত হয়।

রেনেসাঁ আন্দোলনের ফলেই জীবন সম্পর্কে চিন্তা ও ধর্ম সম্পর্কে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়। বহুকালের অবহেলিত প্রাচীন গ্রিস এবং রোমের কৃষ্টি ও সাহিত্যকে নবজন্ম দান করার জন্য সমগ্র ইউরোপে এক বিরাট সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে ওঠে। এই আন্দোলন ইউরোপের ইতিহাসে রেনেসাঁ নামে পরিচিত। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে এ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়।

রেনেসাঁর ফলে মানব জীবনে চিন্তা-চেতনা, ধর্ম ও জ্ঞান-বিজ্ঞান এক নবচেতনায় জাগ্রত হয়। মানুষের মনকে উদার, প্রসারিত ও মহান করে জীবনের প্রতি মুক্তদৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করে। মোট কথা ব্যক্তির স্বাতন্ত্র, মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বকে সর্বতোভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। এ রেনেসাঁ কোন আকষ্মিক ঘটনা নয় বরং তা হলো দীর্ঘ দিনের প্রক্রিয়ার ফল।

রোমান সভ্যতার পতনের যুগ থেকে প্রায় ১০০০ বছর পর্যন্ত ইউরোপে তমসা বিরাজিত ছিল।পঞ্চদশ শতকে ইউরোপের মানুষের মধ্যে গ্রিক ও ল্যাটিন সংস্কৃতি এবং সভ্যতা জানার এক দুর্দমনীয় আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এর ফলে গ্রিক ও রোমান ক্ল্যাসিক্যাল সাহিত্য, দর্শন, শিল্পকলা ও সংস্কৃতির বিপুল জ্ঞানভান্ডারের দ্বার উম্মোচিত হয়।

কুসংস্কার, অন্ধত্ব, রক্ষণশীলতা, বিবেকহীনতা, ধর্মীয় উম্মাদনা প্রভৃতি অচলায়তন ভেদ করে মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয় স্বাধীন চিন্তা, যুক্তি, ধর্মনিরপেক্ষতা ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য সুপ্রতিষ্ঠিত হবার এক চমৎকার পরিবেশ। আর এই চিন্তাধারার আমুল পরিবর্তনই রেনেসাঁ বা পুনর্জাগরণ নামে পরিচিত। ইউরোপকে অন্ধকার থেকে আলোয় তথা মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগে উন্নীত করে।

রেনেসাঁর ব্যাপ্তিকাল


এই যুগের ব্যাপ্তিকাল ছিল আনুমানিক চতুর্দশ থেকে ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত। আধুনিক ইউরোপের উদ্ভবের ক্ষেত্রে রেনেসাঁস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মুলত একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাজ পরিবর্তন প্রক্রিয়া। এর ফলে মধ্যযুগের অবসান হয়ে আধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতার উত্থান ঘটে। অর্থাৎ, আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উন্মেষ ও বিকাশ এর মধ্য দিয়ে ইউরোপের সামাজিক পরিবর্তনই রেনেসাঁস।

ইসলামী স্বর্ণযুগের পর মধ্য এশিয়ায় তিমুরিদ রেনেসাঁ নবজাগরণ শুরু হয়, যা উসমানীয় তুর্কী, সাফাভিদ ইরান এবং মুঘল ভারতকে প্রভাবিত করেছিল। সহজভাবে বলা যায় অতীত ও বর্তমানের সম্মিলনই রেনেসাঁ। গ্রিকদের কালজয়ী মহাপুরুষরা যে আলো ছড়িয়েছিল, তাকেই নতুন করে জাগিয়ে, নতুন করে বুঝে, নতুন জ্ঞানের আলো দিয়ে সেই শিক্ষাকে রেনেসাঁর মাধ্যমে গ্রহন করা হয়েছিল।

রেনেসাঁর সংজ্ঞা


ঐতিহাসিক ডেভিস বলেন- ‘মধ্যযুগের মানুষের শৃঙ্খলিত ও অবরুদ্ধ স্বাধীনতা প্রীতি এবং সাহসিকতাপূর্ণ চিন্তাধারার যে পুনর্জন্ম তাই হচ্ছে রেনেসাঁ।’ রেনেসাঁ এমন এক জাগরণী জোয়ার যা আধুনিক বা বৈজ্ঞানিক ভাবধারায় সঞ্জীবিত হয়ে ব্যক্তি, সমাজ ও সামগ্রিক জীবনবোধের উপর প্রভাব বিস্তার করে এবং সম্ভাবনাময় নব দিগন্তের সূচনা করে।

রেনেসাঁ সংঘটিত হওয়ার কারণ


রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর কনস্টান্টিনোপলকে কেন্দ্র করে নতুন সভ্যতা গড়ে ওঠে এবং তা পশ্চিম ইউরোপে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন নগর রাষ্ট্রের উৎপত্তি এবং তাদের মধ্যে অধিকতর উন্নতি লাভের যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয় তাই রেনেসাঁ সৃষ্টির অন্যতম কারন। এর আহ্বান ইতালির সীমানা ছাড়িয়ে বিভিন্ন দেশেও বিস্তার লাভ করলেও ইতালি সর্বাগ্রে অবস্থান নেয়।

ইউরোপীয় সমাজে রেনেসাঁ হটাৎ করে কোনো আকষ্মিক কোন ঘটনা নয় বরং রেনেসোঁর পিছনে ছিল দীর্ঘ প্রস্তুতি এবং বহু কারনের সমন্বয়। ইউরোপীয় সমাজে রেনেসাঁর উদ্ভবের কারনসমূহ আলোচনা করা হলো-

১. শহরের বিকাশ : মধ্যযুগীয় শহরগুলো ছিল মরুভূমির মরুদ্যানের ন্যায়। শহরগুলো ক্রমান্বয়ে মধ্যযুগীয় প্রভাবমুক্ত হয়ে সংকীর্ণতার সীমা পেরিয়ে সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে যথেষ্ট অবদান রাখেন। ইতালির ফ্লোরেন্সে ঐ যুগে শ্রেষ্ঠ মনীষী ও বুদ্ধিজীবী সমাজের আবির্ভাব ঘটে।

২. জ্ঞান সঞ্চারের প্রেরণা : দ্বাদশ শতাব্দীতে সমগ্র ইউরোপে যখন রাজনৈতিক জটিলতায় নিমগ্ন সে সময়ে কিছু লোক জ্ঞান চর্চাতে মানব মনে মুক্তি খুঁজতে থাকেন। মনীষীগণ সাহিত্য, কাব্য ও দার্শনিক চিন্তায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করেন।

৩. শিক্ষার প্রসার : শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গির্জা ও মাঠে জ্ঞানচর্চা চলতে থাকে। রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বহু পণ্ডিত ব্যক্তি এই সময়ে সাহিত্য ও কবিতায় অবদান রাখেন।

৪. ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার : সামন্তযুগের বিকাশের পূর্বেই ইউরোপের অর্থনীতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটতে থাকে। এতে একটি বণিকগোষ্ঠীর জন্ম হতে থাকে, যারা ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বার্থেই শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রসারে এগিয়ে আসে। এভাবে মধ্যযুগেই রেনেসাঁর পটভূমি রচিত হয়।

৫. প্রাচীন পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণ : বিভিন্ন মঠ ও গির্জা সংলগ্ন গ্রন্থাগারগুলোতে পণ্ডিত ব্যক্তিগণ প্রাচীন গ্রন্থগুলো নকল করতে শুরু করেন। নবম ও দশম শতাব্দীতে বর্বর আক্রমণে বহু গ্রন্থ নষ্ট হয়ে গেলেও অনেক মূল্যবান পাণ্ডুলিপি এসব গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত ছিল। ফলে দ্বাদশ শতাব্দীতে জ্ঞানচর্চার সুবিধা হয়।

৬. জ্ঞান-বিজ্ঞানের সংমিশ্রণ : একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীতে পশ্চিম ইউরোপে মুসলিম এবং গ্রিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সংস্পর্শে এসেছিল। দক্ষিণ ইতালি এবং সিসিলিতে মুসলিম, খৃস্টান, গ্রিক ও ল্যাটিন সংস্কৃতির সংমিশ্রণ ঘটে। স্পেনের মুসলিম জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য, সংগীত ইউরোপে অনুপ্রবেশ করে নতুন জ্ঞানের উন্মেষ ঘটায়।

৮. বাইরের থেকে জ্ঞান সঞ্চার : বিভিন্ন সংস্কার আন্দোলন এবং জেরুজালেমে তীর্থযাত্রা ইউরোপীয়দের মধ্যে জ্ঞানের নবদিগন্তের সূচনা করে। প্রথম ক্রুসেডের মাধ্যমে ইউরোপীয় খৃস্টানগণ প্রাচ্যের জ্ঞান-বিজ্ঞানের সংস্পর্শে আসে।

৮. জ্ঞানী ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয়তাবোধ : একাদশ শতাব্দীতে বিশেষ করে পোপ ৭ম গ্রেগরির সময়ে দক্ষ পণ্ডিত ও আইনজ্ঞদের প্রয়োজন অনুভূত হয়। এগুলোই পাণ্ডিত্য অর্জনে এবং জ্ঞান চর্চায় জনগনকে উদ্বুদ্ধ করে।

৯. ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনুপ্রবেশ : মধ্যযুগে ইউরোপে যখন জ্ঞান-বিজ্ঞানে পিছিয়ে তখন ইসলামি জগতে জ্ঞানের মশাল জ্বেলে উঠে। মুসলমানরা আব্বাসীয় যুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানে প্রভূত উন্নতি করে। ইসলামি জ্ঞানের সংস্পর্শে এসে ইউরোপে নতুনভাবে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা শুরু হয়।

১০. ক্রুসেড অভিযান : বার ও তের শতকে জ্ঞানস্পৃহার যে প্রকাশ দেখা দেয় তা সৃষ্টি হয় ক্রুসেডের মাধ্যমে। ধর্মের নামে যে নব চেতনা ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় তা ইউরোপীয়দের মনকে ক্রমান্বয়ে ব্যাপক জাগরণের দিকে ধাবিত করে। এই উদ্দীপনা রেনেসাঁর পথ সুগম করে।

১১. মুদ্রণযন্ত্রের আবিস্কার : ইউরোপে নবজাগরণের অন্যতম সহায়ক কারন ছিল মুদ্রণযন্ত্রের আবিস্কার। নতুন নতুন গ্রন্থ রচনায় পণ্ডিত ব্যক্তিরা উৎসাহিত হয়ে পড়ে। যার ফলে মানবজীবনে নবজাগরণের সৃষ্টি হয়।

১২. মানুষ ও প্রকৃতির প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি : মানুষ ও প্রকৃতি জগতের নানা রহস্য উদঘাটিত হতে থাকে। মানুষ ও প্রকৃতি সম্পর্কে এবং এর সৌন্দর্য সম্পর্কে তারা তখন নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে লিখতে শুরু করে। শিল্পীরা এসব নিয়ে ছবিও আঁকেন।

১৩. গির্জা ও সামন্ত অভিজাতদের সমালোচনা : মানবতাবাদীরা গির্জা কর্তৃক মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টির কঠোর সমালোচনা শুরু করেন। তবে তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস হারান নি। গির্জার পুরোহিত ও তাদের সহচরদের ধর্মের নামে ভণ্ডামির বিরুদ্ধে মানবতাবাদীরা সমালোচনা করেন। তাদের এ সমালোচনা রেনেসাঁর অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করে।

১৪. কনস্টান্টিনোপলের পতন : ইউরোপে নবজাগরণে কনস্টান্টিনোপলের পতনও একটি অন্যতম কারন। কনস্টান্টিনোপল মুসলমানদের হাতে আসায় গ্রিক ও ল্যাটিন ভাষার প্রসার ঘটে। যার ফলে ইউরোপের নব চেতনার সৃষ্টি হয়।

১৫. প্রাচীন সমাজ সংস্কৃতির প্রতি আকর্ষণ ও প্রাচীন পাণ্ডুলিপি উদ্ধার : প্রাচীন সাহিত্যের পাণ্ডুলিপি উদ্ধার করে সেগুলো রোমে একত্রিত করা হয়। ফলে রোম রেনেসাঁ ও সাহিত্যানুরাগীদের কেন্দ্রে পরিণত হয়।

রেনেসাঁর কয়েকজন চিত্রশিল্পী


লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি : রেনেসাঁ যুগের মধ্যে নিঃসন্দেহে শ্রেষ্ঠ ছিলেন লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি। তাকে শুধু রেনেসাঁ যুগেই নয় সর্বকালের শ্রেষ্ঠ একজন শিল্পী হিসাবে অখ্যায়িত করা হয়। সে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ছিলেন এক বিস্ময়। সে সময়ের দেহ বিজ্ঞান, নৌ-বিদ্যা এবং বহু বৈজ্ঞানিক আবিস্কারের নেপথ্য জনক ছিলেন।

মাইকেল এঞ্জেলা : তিনি একজন ইতালীয় ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি। তার বৈচিত্রময়তার ব্যাপ্তি এবং বিস্তৃতির কারনে তাঁকে রেনেসাঁ মানব বলে বর্ণনা করা হয়। ইতিহাসেও তাঁকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পী হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

রাফায়েল : রেনেসাঁর শিল্পীদের মধ্যে স্বাতন্ত্রের অধিকারী ছিলেন রাফায়েল। অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত হলেও নিজে এক স্বকীয় ধারা নির্মাণ করতে সক্ষম হন।

মধ্যযুগে ইউরোপে নবজাগরণ একটি উল্ল্যেখযোগ্য ঘটনা। সমাজ ও সভ্যতার ইতিহাসে এটি একটি মাইলফলক। রোমান সভ্যতার পতনের পর ইউরোপীয় সমাজ অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এ সময়ে গ্রিক ও ল্যাটিন সভ্যতার সকল নিদর্শনকে অন্ধকারে বন্দি করে রাখা হয়। জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশ স্থবির হয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণই ছিল রেনেসাঁ বা নবজাগরণ।

ইউরোপে রেনেসাঁ এসেছিল ধর্মকে বাদ দিয়ে। মুসলিম সমাজ রেনেসাঁর ভিতর দিয়ে এগিয়ে যাবে ধর্মকে সাথে নিয়ে, কারন মুসলিম সংস্কৃতি ধর্মনিরপেক্ষ নয় বরং ধর্মভিত্তিক। তাই মুসলমানের রাজনীতি, সংস্কৃতি কোনটিই ধর্মের বন্ধনমুক্ত করা সম্ভব নয়। ইসলামী দুনিয়ায় কোথাও তা হয়নি। সেকুলারিজম পুরোপুরি একটি ইউরোপীয় বিষয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url