মক্কা বিজয় ইসলামের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ও যুগান্তকারী ঘটনা

মক্কা,পূর্ণ নাম মাক্কাহ আল মুকাররামাহ। সৌদি আরবের হেজাজের একটি শহর ও মক্কা প্রদেশের রাজধানী। মক্কা সেমেটিক ভাষা বাক্কা থেকে উৎপত্তি যার অর্থ উপত্যকা। পবিত্র কুরআনে বিশ্ববাসীর জন্য বরকতময় ও হিদায়েতের জন্য নির্মিত প্রথম ঘর মক্কার নাম বাক্কা বলে উল্লিখিত হয়েছে।

মক্কা বিজয় ইসলামের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ  ও যুগান্তকারী ঘটনা

মক্কা বিজয় ইসলামের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ও যুগান্তকারী ঘটনা


খৃস্টপূর্ব ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইবরাহীম ও ইসমাইল আ. এর যুগ থেকে মক্কার ইতিহাস শুরু হয়। কেননা তাঁরাই ছিলেন মক্কার প্রথম বসবাসকারী। আল্লাহর আদেশে ইবরাহীম আ. ইসমাইল আ. কে তাঁর মা হাজেরা সহ এই মক্কার বিরান ভূমিতে রেখে আসেন। ইবরাহীম আ. এর দোয়ার ফজিলতেই ইসমাইল আ. এর পায়ের নীচ থেকে যমযমের পানি বের হতে থাকে যখন তার মায়ের কাছে থাকা খাদ্য ও পানীয় শেষ হয়ে যায়।

সে সময় থেকে বিভিন্ন গোত্র এ কূপের কাছে আসতে থাকে এবং এক পর্যায়ে মক্কা নগরীতে লোকালয় গড়ে ওঠে। কুরাইশ গোত্রের কাছে অর্পিত হয় মক্কার নেতৃত্ব। এ দায়িত্ব বহাল থাকে নবী সা. এর আবির্ভাবের পূর্ব পর্যন্ত। নবী সা. এর আবির্ভাব মক্কা ও সমগ্র পৃথিবীর জীবনধারায় বিশাল পরিবর্তন সাধিত হয়।

কাবা পরিণত হল মুসলমানদের কিবলায় এবং ইসলামী দাওয়াতের সূতিকাগারে। তবে মক্কাবাসীরা এ দাওয়াত মেনে নেয়নি বরং তাদের কঠোর নির্যাতনে একসময় মুসলমানরা নিজ ভূমি ছেড়ে হিজরত করে চলে যেতে বাধ্য হন মদীনায়। সেখানেই প্রতিষ্ঠা করে সর্বপ্রথম ইসলামী রাষ্ট্র। এর পর নবী সা. বিজয়ী বেশে ফিরে আসেন মক্কায়।

মক্কা মূলত পবিত্র কাবা শরিফের কারনেই পরিচিত। ইসমাইল বড় হবার পর ইবরাহীম আ. মক্কায় আসেন এবং আল্লাহর আদেশে এখানে কাবার নির্মাণ শুরু করেন পুত্রের সাথে। কাবার প্রাথমিক নির্মাণ শেষ হলে একজন ফেরেশতা আকাশ থেকে পতিত অপার্থিব একটা সাদা পাথর তাঁর কাছে নিয়ে আসেন, যেটা কাবার পূর্ব কোণে স্থাপন করা হয়।

মক্কা ইসলাম ধর্মের পবিত্রতম নগরী হিসাবে স্বীকৃত। এই শহরে মুহাম্মদ সা. এর জন্ম এবং এখানেই (হেরা গুহায়) তিনি কুরআনের প্রথম ওহী লাভ করেন। মক্কার প্রাণকেন্দ্রে কাবা অবস্থিত। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কাবা হলো পৃথিবীর প্রথম মসজিদ। মুসলিমরা প্রতিদিন পাঁচবার এই কাবাকে কেন্দ্র করে নামায পড়ে এবং প্রতি বছর হজ্জ ও উমরা পালন করে থাকে।

ইসলাম ও বিশ্বসভ্যতার ইতিহাসে মক্কা বিজয় এক ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। হযরত মুহাম্মদ সা. ৬৩০ খৃস্টাব্দে রক্তপাতহীনভাবে মক্কা নগরী জয় করেন। মক্কা বিজয় ইসলামের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ ও যুগান্তকারী ঘটনা। এ বিজয়ের ফলে আরবের অন্যান্য এলাকা বিজয় করা সহজসাধ্য হয়ে পড়ে। আল কুরআনে হুদাইবিয়ার সন্ধিকে প্রকাশ্য বিজয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হুদাইবিয়ার সন্ধি এবং মক্কা বিজয় মুহাম্মদ সা. এর অতুলনীয় দুরদর্শীতার ফল।

৮ম হিজরির ১৯ রমজান ঐতিহাসিক মক্কা বিজয় অর্জিত হয়। প্রমাণিত হয় মানবতার জন্য ইসলাম সত্য, সুন্দর, ন্যায় ও কল্যাণের জন্য ইসলাম। ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি, মৈত্রী, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য। মহানবী সা. এর নেতৃত্বে মুসলমানগণ যে বীরত্ব, রণকৌশল, বিনয় ও শত্রুর সাথে আচরণের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা গোটা মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় আদর্শ।

মদীনায় হিজরত


কুরাইশদের নির্যাতনে বাধ্য হয়ে মহানবী সা. স্বদেশভূমি মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় আগমনের পর দ্বিতীয় হিজরিতে কুরাইশরা মদিনায় আক্রমণ করলে বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। চরমভাবে পরাজিত হলেও আবার ৫ম হিজরিতে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দুরে এসে মদিনায় আক্রমণ করে। সংঘটিত হয় ওহুদের যুদ্ধ।

৬ষ্ঠ হিজরির জিলকদ মাসে রাসূল সা. ১৪শ মুসলমানকে নিয়ে উমরার উদ্দেশ্যে মক্কা যাত্রা করলেন। কুরাইশরা বাধা দিলে মহানবী সা. হুদাইবিয়া নামক জায়গায় অবস্থান করেন। সেখানেই সম্পাদিত হয় ঐতিহাসিক ‘হুদাইবিয়ার সন্ধি’ যা বিশ্ব ইতিহাসে প্রথম লিখিত চুক্তি। সন্ধির শর্তগুলি ছিল দৃশ্যত মুসলমানদের জন্য অপমানজনক।

একটি শর্ত ছিল, এ বছর উমরা না করেই মদিনায় ফিরে যেতে হবে। মুসলমানরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না এমন শর্ত। শেষ পর্যন্ত মহানবী সা. কুরাইশদের শর্ত মেনে নিয়ে ১০ বছর মেয়াদি চুক্তিতে সই করেন। চুক্তি সম্পাদনের পর নির্দেশ দিলেন সবাই ইহরাম খুলে নাও আর মাথার চুল কামাও, কুরবানির জন্য আনা পশুগুলো জবাই কর।

নবীজি লক্ষ করলেন একটু আগে যারা অজুর পানি ও মুখের থুতুর বরকত নেয়ার জন্য যে সাহাবীরা কাড়াকাড়ি করেছে তারাই এখন নির্দেশ মানছে না। এ কঠিন পরিস্থিতিতে তিনি মনক্ষুন্ন হয়ে তাঁবুতে ফিরে গেলেন। সহধর্মীণী উম্মে সালামা (রা.) ব্যাপারটা বুঝে ফেললেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহর নবী ! আপনি এখনই তাঁবু থেকে বের হয়ে কারো সাথে কথা না বলে আপনার কুরবানির উটনি জবাই করুন। আপনার মাথা মুন্ডন করে নিন।

তিনি তাই করলেন। এ দৃশ্য দেখার পর মহানবীর হুকুম পালনের জন্য সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ল। মূলত তারা অপেক্ষায় ছিল যে, সন্ধির অপমানজনক শর্তগুলি হয়ত পরিবর্তন করা হতে পারে। শেষ পর্যন্ত এক কঠিন সংকটের অবসান হল।

হুদাইবিয়া সন্ধির শর্ত লঙ্ঘন


হুদাইবিয়ার সন্ধির অল্প কিছুদিন পরেই ইসলাম ব্যাপক হারে প্রসারিত হতে শুরু করে যা কুরাইশদের শঙ্কিত করে তোলে। তারা দেখতে পায় এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই বিভিন্ন গোত্রগুলি ইসলাম গ্রহণ করবে। তারা তায়েফের সাকিফ গোত্র এবং হুনায়নের হাওয়াজিন গোত্রদ্বয়ের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে মদীনা আক্রমণের পরিকল্পনা করে।

কিন্তু ১০ বছরের এই চুক্তির কারনে তারা আক্রমণ করতে পারছিলনা। তাই তারা প্রথমে চুক্তি বাতিলের ষড়যন্ত্র শুরু করে। ২১ মাস যেতে না যেতে কুরাইশরা হুদাইবিয়ার সন্ধির শর্ত লঙ্ঘন করে। কথা ছিল, কুরাইশ বা মুসলমানরা কেউ অপর পক্ষের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোনো গোত্রের উপর আক্রমণ করবে না। সন্ধির চুক্তিমতে বনু বকর গোত্র কুরাইশদের সাথে এবং বনু খুজাআ মদীনার ইসলামী সরকারের সাথে মৈত্রীসূত্রে আবদ্ধ হয়েছিল।

এই দুই গোত্রের মধ্যে অনেক আগে থেকেই শত্রুতা চলে আসছিল। কিন্তু কুরাইশদের সহায়তায় তাদের মিত্র বনু বকর খোজাআ গোত্রের উপর আক্রমণ ও ব্যপক হত্যাকাণ্ড চালায়। পরিস্তিতির নাজুকতা বুঝতে পেরে কুরাইশ নেতা আবু সুফিয়ান মদীনায় গিয়ে রাসূল সা. এর সাথে সাক্ষাত ও আলাপ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার প্রচেষ্টা ব্যার্থ হয়।

বুঝতে পারেন মুসলমানরা মক্কা আক্রমণ করতে যাচ্ছে। আবু সুফিয়ান তড়িঘড়ি করে মক্কার পথে রওনা হন। এর পরই ৮ম হিজরির ১০ রমজান ১০ হাজার মুসলমানদের সাথে নিয়ে মহানবী মক্কা অভিযানে বের হন। মহানবী মক্কার জীবনে অবর্ণনীয় জুলুম ‍নির্যাতন, যুদ্ধ-বিগ্রহ, মদীনা আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে পারে এ আশংকায় মক্কায় তখন থমথমে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মক্কা অভিমুখে যাত্রা ও শিবির স্থাপন


মহানবী সা. মক্কার উপকন্ঠে উপনীত হলেন। তিনি এমন সব রণকৌশল গ্রহণ করলেন যাতে কুরাইশ বাহিনী ভয়ে হতভম্ভ হয়ে গেল। সামান্য প্রতিরোধ করার মনোবলও হারিয়ে ফেলল। মরুভূমির খোলা প্রান্তরে ১০ হাজার মুসলিম বাহিনী অবস্থান নিলেন। নবীজি নির্দেশ দিলেন রাতের খাবার দশ হাজার লোকের প্রত্যেকে আলাদা চুলায় রান্না করবে।

রাতের অন্ধকারে বিশাল প্রান্তর জুড়ে চুলার আগুন জলে উঠল। শত্রুপক্ষের গুপ্তচররা ভাবল, না জানি কত ফৌজ এসেছে কুরাইশদের আক্রমণ করতে। এত বিশাল বাহিনীর মোকাবিলার শক্তি মক্কাবাসীর নাই। নবীজি রাতের কৌশলের বিপরীত আরেকটি নির্দেশ দিলেন। বললেন, সকালে প্রাকৃতিক প্রয়োজন মিটাতে সৌচাগার হবে সমান তফাতে এবং সংখ্যায় হবে কম।

ফলে সকাল থেকে সৌচাগারে দীর্ঘ লাইন। গুপ্তচরেরা দেখে অবাক। এই তথ্য কুরাইশদের কাছে পৌঁছালে যুদ্ধ করার মনোবল সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলে। এই দুটি রণকৌশল বিনাযুদ্ধে মক্কা বিজয়ের দুয়ার উম্মুক্ত করে দেয়।

আরেকটি রণকৌশল ছিল একই সময়ে মক্কাকে কেন্দ্র করে চারদিক থেকে অগ্রসর হওয়া। এর ফলে শত্রুপক্ষের শক্তি ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়বে এবং কোন সারির দিকেই তারা আলাদাভাবে মনোযোগ দিতে পারবেনা। একটি সারি যদি আক্রান্ত হয় তাহলে পাশের সারি থেকে তা প্রতিহত করা যাবে। মুহাম্মদ সা. কুরাইশরা আক্রমণ না করলে যুদ্ধ হতে বিরত থাকার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

এ দিকে মুসলমানদের গতিবিধি নিরীক্ষণের জন্য কুরাইশ নেতা আবু সুফিয়ান রাতে এসেছিলেন উম্মুক্ত প্রান্তরে। এক পর্যায়ে রাসূল সা. এর চাচা আব্বাস রা. এর সঙ্গে তার সাক্ষাত হয় এবং তাকে নবীজির কাছে নিয়ে যান। পরদিন সকালে অনেকটা বাধ্য হয়ে আবু সুফিয়ান ঈমান আনে। যা মক্কা বিজয়কে একেবারে সহজ করে দিল।

ঘোষণা করা হল, যারা কাবাঘরে প্রবেশ করবে তারা নিরাপদ, যারা আবু সুফিয়ানের ঘরে আশ্রয় নেবে তারাও নিরাপদ থাকবে, যে অস্ত্র সমর্পণ করবে সেও নিরাপদে থাকবে, এবং যে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে থাকবে সেও আক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকবে।

মুসলিম বাহীনি ৬৩০ সালে মক্কায় প্রবেশ করে। খালিদের সারি ছাড়া বাকি তিনটি সারির প্রবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ ও রক্তপাতহীন। কুরাইশগণ মুসলিমদের তালোয়ার ও বর্শা দিয়ে আক্রমণ করে। মুসলিম বাহীনি সে আক্রমণ প্রতিরোধ করে। একটি স্বল্পকালীন খন্ডযুদ্ধের পর ১২ জন কুরাইশ সেনা নিহত হবার পর তারা জায়গা ছেড়ে দেয়। মুসলিমদের ২ জন সেনা নিহত হয়।

বিনা বাধায় মক্কায় প্রবেশ


প্রিয় নবী সা.মক্কা জয়ের আগেই মক্কাবাসীর মন জয় করে বড় বিজয় অর্জন করেন। অতুলনীয় বীরত্ব ও রণকৌশল ব্যবহার করে ৮ হিজরির ২০ রমযান নবীজি প্রায় বিনা বাধায় মক্কায় প্রবেশ করেন। মক্কা বিজয় সূচিত হয়। মুহম্মদ সা. সাহাবাদের সাথে নিয়ে কাবা ঘর পরিদর্শন করলেন। কাবাঘরে ৩৬০ টি মূর্তি ভেঙ্গে ফেলা হল।

মক্কাবাসীর আতঙ্ক ছিল রাসূলে উপর অবর্ণনীয় নির্যাতনের প্রতিশোধ নেন কিনা! কিন্তু মহানবী সা. প্রতিশোধ না নিয়ে ঘোষণা করলেন, আজকের দিনে তোমাদের কাছে কোনো প্রতিশোধ নাই, তোমরা সবাই মুক্ত। একটি আয়াত পাঠ করলেন- ‘বলো সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয়ই মিথ্যা বিলুপ্ত হতে বাধ্য।’ রক্তপাত এড়ানোর রণকৌশল আর বিজিত জাতির উদ্দেশ্যে সাধারণ ক্ষমা দুনিয়ার মানুষের সামনে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

মক্কা বিজয়ের পর হযরত মুহম্মদ সা. সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে মক্কার কাফেরদের ক্ষমা করেছিলেন। কিন্তু জঘন্য অপরাধ এবং অমানবিক কাজের কারণে ১৫ জন কাফের সেই সাধারণ ক্ষমার অযোগ্য ছিল। ১৫ জনের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। তিনি বলেন,তাদের যদি কাবার গিলাফ আঁকড়ে ধরা অবস্থাতেও পাও, তবুও তাদের হত্যা করো।

হযরত উসামা ইবনে জায়েদের সঙ্গে উটে চড়ে রাসুলুল্লাহ সা. অবনত মস্তকে সবার শেষে মক্কায় প্রবেশ করলেন। মক্কাবাসীদের সামনে তিনি সাম্য, মৈত্রী ও একতার কথা বললেন, হে কুরাইশরা ! অতীতের সব ভ্রান্ত ধারণা মন থেকে মুছে ফেলো, গর্ব-অহংকার ভুলে যাও, সবাই এক হও। সব মানুষ সমান- এ কথা বিশ্বাস কর।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url