ইনকা সভ্যতা পনের শতকে গড়ে উঠা পৃথিবীর অন্যতম বিস্ময়
ইনকা সভ্যতা দক্ষিণ আমেরিকার প্রাচীন পেরুতে গড়ে উঠেছিল। দক্ষিণ আমেরিকা পার্বত্য অঞ্চল ইকুয়েডর থেকে বলিভিয়া পেরিয়ে চিলির উত্তর প্রান্ত জুড়ে ছড়িয়ে ছিলো ইনকা জাতি। কালক্রমে নানাভাবে বিভক্ত হয়ে এরা আমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন স্থানে বসতি স্থাপন করে।
ইনকা সভ্যতা পনের শতকে গড়ে উঠা পৃথিবীর অন্যতম বিস্ময়
দক্ষিণ আমেরিকার একটি বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে ১৪০০ থেকে ১৫৩৩ খৃস্টাব্দের মধ্যে ইনকারা তাদের সাম্রাজ্য প্রসারিত করেছিল। এটি তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম সভ্যতা হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিল। সমভূমি, পাহাড়, মরুভূমি এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জঙ্গলের মতো বিভিন্ন পরিবেশে নিজেদেরকে বেশ ভালো ভাবেই খাপ খাইয়ে নিতে পেরেছিল।
খৃস্টপূর্ব ৯০০০ সাল থেকে ইনকারা তাদের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করে। ১৫৩৩ সাল পর্যন্ত ৯০ জন ইনকা রাজার নাম পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে ১৩ জন বীরত্ব, প্রজাকল্যাণ ও রাজ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্যে বিখ্যাত ছিলেন। তাদের সমগ্র রাজ্যে ৭০০ টি ভাষা প্রচলিত ছিল। রাজপরিবারের সদস্যরা কুয়েচুয়া ভাষায় কথা বলত। তবে ভাষার কোন লিপি না থাকায় তাদের কোন বইপুস্তক পাওয়া যায়নি।
ইনকা সভ্যতা পনের শতকে গড়ে উঠা পৃথিবীর অন্যতম বিস্ময়। ইনকা সাম্রাজ্যে পুরানো বিশ্বের সভ্যতার সাথে সম্পর্কিত অনেক বৈশিষ্ট্যের অভাব থাকার পরও ‘মানব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্যিক রাষ্ট্রগুলির মধ্যে একটি’ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল। তাদের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে স্মারক স্থাপত্য, বিশেষ করে পাথরের কাজ, সাম্রাজ্য জুড়ে বিস্তৃত রাস্তা, সূক্ষ টেক্সটাইল, রেকর্ড রাখা, কৃষি উদ্ভাবন এবং উৎপাদন।
যুদ্ধে যেখানেই তারা জয়লাভ করেছে সেখানেই নিখুঁতভাবে স্থাপত্য নির্মাণ করেছে। শিল্প ও স্থাপত্যশৈলীর জন্য তারা বিখ্যাত ছিল। ইনকা রাজ্যে কিশোর বয়স থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত সবাই কৃষিকাজ বা উৎপাদনশীল কোন কাজে ব্যস্ত থাকত। লোহা ও চাকার ব্যবহার জানত না তবে লামা নামের পশু ছিল চলাচলের প্রধান মাধ্যম। ইনকারা দক্ষ নির্মাতা ছিল।
পাহাড়ি জাতি হওয়ায় তারা পাহাড় কেটে সিঁড়ি তৈরি করে যাতায়াত করত। প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম উপকূল ছুঁয়ে দক্ষিণ দিকে যাতায়াতের জন্য তাদের তৈরি ১৪ হাজার মাইল দীর্ঘ মহাসড়কের অস্তিত্ব আজও রয়েছে। পেরু, বলিভিয়া, চিলি এবং আশপাশের দেশগুলিতে ইনকারা আজও টিকে আছে।
ইনকা সাম্রাজ্য মূলত অর্থ ছাড়া এবং বাজার ছাড়াই কাজ করত। পরিবর্তে ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং শাসকদের মধ্যে পারস্পরিকতার উপর ভিত্তি করে পণ্য ও পরিসেবার বিনিময় হত। ‘কর’ সাম্রাজ্যের একজন ব্যক্তির শ্রম বাধ্যবাধকতা নিয়ে গঠিত। শাসকগণ প্রজাদের জন্য ভূমি ও পণ্যের প্রবেশাধিকার প্রদান করে।
নামকরণ
দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় ১৫ শতকে যে সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল তা ইনকা সাম্রাজ্য নামে পরিচিত। কুজবেন নামক স্থানে এরা বসতি স্থাপন করে। স্থানের নামানুসারে এদেরকে বলা হয় কেচুয়া জাতি। ইনকা শব্দের অর্থ ‘সূর্য দেবতার সন্তান’। তবে কখনো কখনো সমুদয় জনগোষ্ঠীকেও ইনকা বলা হত।
ইনকার রাষ্ট্রীয় ভাষার নাম কেচুয়া ভাষায় সাম্রাজ্যটির নাম তাওয়ানতিনসুইউ। যার অর্থ চার অংশ। বিশাল আকারের ইনকা সাম্রাজ্য ছিল ভৌগলিক বৈচিত্রে ভরা। কোথাও ছিল চাষ উপযোগী উপত্যকা, কোথাও পাহাড়ি ভূমি, কোন অংশ জুড়ে ছিল সমুদ্রের তটভূমি।
রাজ্য থেকে সাম্রাজ্য
ইনকা সাম্রাজ্যের প্রথম যুগের ইতিহাস খুব স্পষ্ট নয়। স্পেনীয়দের লেখায় কিছু ধারণা পাওয়া যায়। এরা এ অঞ্চলে জঙ্গল কেটে কৃষিভূমি উদ্ধার করে এবং চাষাবাদ করতে থাকে। এদের অন্যতম ফসল ছিল আলু ও ভুট্টা। প্রাথমিক অবস্থায় এই জনগোষ্ঠী এই অঞ্চলে একটি রাজত্ব গড়ে তোলে। দশ শতকে এ অঞ্চলগুলো ছোট ছোট সামন্ত অধিপতিদের অধীনে ছিল। প্রথমদিকে ইনকারা প্রতিবেশী ক্ষুদ্র রাজ্যগুলোর ওপর আধিপত্য বিস্তার করে। এভাবেই তারা বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলে।
সম্রাটদের শাসন
ইনকা সভ্যতা বরাবরই বিস্মিত করে আধুনিক মানুষদের। ইনকা সাম্রাজ্যের সম্রাটদের সাপা ইনকা বলা হত। অনেকের ধারণা ইনকা সাম্রাজ্যের প্রথম রাজা বা প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মানকো কাপাক। ইনকা সাম্রাজ্যের রীতি অনুসারে মানকো তাঁর নিজের বোনকে বিবাহ করেছিলেন। ১২০০ খৃস্টাব্দের দিকে তিনি কুজকো নগরী প্রতিষ্ঠা করেন।
পরবর্তীতে তার উত্তরসূরীরা ছোট ছোট রাজ্য জয় করে রাজ্যের বিস্তার ঘটায়। তাদের রাজ্য বিস্তারে সবচেয়ে সফল রাজা ছিলেন পাচাকুতি। যিনি ইনকা সাম্রাজ্যের তিন ভাগের দুই ভাগই অধিকার করেছিলেন। তাঁর সময়ে তৈরি সবচেয়ে আলোচিত নগরী হলো মাচুপিচু। অনেকে মনে করেন মাচুপিচু নগরীটি ছিল সম্রাটের নিজস্ব সম্পদ।
এখানে একটি শক্তিশালী দৃর্গ তৈরী করা হয়েছিল। শীতকালীন রাজধানী হিসাবে ও নগরীটি ব্যবহৃত হত। এটি পেরুর উরুবাম্বা উপত্যকার উপরে একটি পর্বতচূড়ায় অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭৮৭৫ ফিট উপরে। ইউনেস্কো ১৯৮৩ সালে এটিকে তাদের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এটি বর্তমান বিশ্বের সাতটি নতুন বিস্ময়েরও একটি।
ইনকা সভ্যতার সর্বশ্রেষ্ঠ নিদর্শন মাচুপিচু পৃথিবীর সপ্তম আশ্চার্য। প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক মাচুপিচুতে ঘুরতে যান। ১৯১১ সলে অধ্যাপক হাইরাম বিংহাম মাচুপিচু শহরটির সন্ধান পান। এই শহরটি স্প্যানিশদের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যায়। ১৪৭০ সালে ইনকারা সবচেয়ে সম্পদশালী ও শক্তিধর রাজ্য চিমু অধিকার করেন। বর্তমান পেরুই হচ্ছে সে যুগের চিমু। শেষ ইনকা শাসক আতাহুয়ালপা এর পিতা হুয়াইনা কাপাক ১৫২৭ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সাম্রাজ্যের শেষ উত্তর সীমায় শাসন করেছিলেন।
সাম্রাজ্যের অবসান
হুয়াইনা কাপাক এর সময় ইনকাদের গৃহযুদ্ধ হয়েছিল। সে সময় উত্তরাধিকার নির্বাচনের কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম ছিল না। সে কারণে সিংহাসনের দাবিদারদের মধ্যে প্রায়ই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ লেগে থাকত। এ দ্বন্দ-সংঘাতের সুযোগ নিয়েছিল স্পেনীয়রা। ১৫৩২ সালে স্পেনীয় বিজেতা ফ্রান্সিসকো পিজাররো ইনকা সাম্রাজ্যে প্রবেশ করেন। স্পেনীয়দের শক্তিশালী বন্দুক ও কামানের সামনে ইনকারা সাধারণ তীর-বল্লম দিয়ে টিকতে পারেনি। ধ্বংস হয়ে যায় ইনকা সাম্রাজ্য। শেষ সাপা আতাহুয়ালপাকে পিজারো বাহিনী হত্যা করে।
আঞ্চলিক শাসনব্যবস্থা
পুরো ইনকা সাম্রাজ্যে ছিল নানা গোত্র আর ভাষার মানুষ। ফলে সাম্রাজ্যের ভেতর ঐক্য গড়ে তোলা কঠিন ছিল। তবে ঐক্য গড়ার জন্য সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অভিজাতদের একটি দল কোস্কোতে আসে। তারা জনসাধারণের ওপর প্রভাব বিস্তার করেতে থাকে। এভাবেই আঞ্চলিক শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয় এবং একইসাথে একটি অভিজাততন্ত্র কায়েম হয়।
সামরিক ব্যবস্থাপনা
ইনকারা সামরিক ভাবে অনেক শক্তিশালী ছিল। তারা একটা দক্ষ সৈন্যবাহিনীর সহায়তায় বিশাল সাম্রাজ্য তৈরি করে। শ্রেষ্ঠ যোদ্ধারা সমাজে সম্মানিত এবং ক্ষমতাধর হয়ে উঠে। এই সকল যোদ্ধাদের সমর্থনে কেন্দ্রীয় নেতার উদ্ভব হয়েছিল। সামরিক বাহিনী আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বও পালন করত। বিভিন্ন অপরাধ দমনের জন্য সম্মিলিত ব্যবস্থা নেয়া হত। তারা বিভিন্ন দূর্গ বা পুকারা গড়ে তুলে সেখানে সাত-আটজন করে সৈনিক দায়িত্বে রাখত। ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকতে থাকতে এরা কাপাক বা শাসক নামে অভিহিত হতে থাকে।
ধর্ম ও সংস্কৃতি
ইনকাদের ধর্মের সাথে প্রাচীন মিশরীয়দের ধর্মের মিল আছে। তাদের প্রধান দেবতা ছিল সূর্যদেবতা ইন্তি। রাজা ছিলেন সূর্য দেবতার প্রতিনিধি। তারা এক সময় তাদের নেতাকে সূর্যপুত্র ভাবতো। ইনকারা এই দেবতাকে তাদের জগৎস্রষ্টা হিসাবে মনে করত। এরা ঊচু কোন পাহাড়ের উম্মুক্ত স্থানে পাথরের বেদী তৈরি করতো। এর উপরে সূর্যদেবতার প্রতীকী মূর্তি রাখা হত।
সম্রাটের বড় ছেলে সম্রাট হতেন। ইনকারা মনে করত তাদের এক দেবতা তিতিকাকা হ্রদ এর পানি থেকে উঠে পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার করেন। তাই এ হ্রদের পানি তাদের কাছে পবিত্র। ইনকারা তিনটি জগতের উপর বিশ্বাস করত। উচ্চ জগত, মধ্য জগত আর নিম্ন জগত। উচ্চ জগতটা হচ্ছে স্বর্গ, যেখানে পূণ্যবান ও রাজারা মৃত্যুর পর সেখানে যাবে।
মধ্য জগত হলো পৃথিবী, যেখানে কর্ম অনুযায়ী মৃত্যুর পর তার ফল পাবে। নিম্ন জগত হলো নরক, যেখানে মৃত্যুর পর পাপীরা ফল ভোগ করবে। সম্রাট বিবাহ করতেন আপন বোনকে। রাজ্যের সুন্দরী নারী উপহার পেলে উপপত্নী হিসাবে গ্রহন করতেন।
ইনকাদের খাদ্যাভাস ও অর্থনীতি
ইনকাদের আদি পুরুষরা শিকারী ছিল। পরে ধীরে ধীরে এরা কৃষিজীবী হয়ে পড়ে। এদের প্রধান খাবার ছিল আলু ও ভূট্টা। ভূট্টা থেকে এক ধরনের পানীয় তৈরি করে খেত। পেরুতে এটি এখনো জনপ্রিয়। তারা সামুদ্রিক মাছ এবং মাংসের মধ্যে গিনিপিগ ও ছাগল জাতীয় লামার মাংস খেত। তারা খাদ্য সঞ্চয় করে রাখেত। রাজ্য জুড়ে অসংখ্য সরকারি খাদ্যভান্ডার ছিল।
শস্য ছাড়াও মাংস শুকিয়ে নোনা করে রাখত। এদের কর ব্যবস্থা ছিল কঠোর। কোন ব্যক্তি কর পরিশোধ করতে না পারলে রাষ্ট্রীয় কাজ করে পরিশোধ করতে হত। অধিকাংশ পুরুষ সেনাবাহিনীতে, খনিতে বা কৃষিখামারে কাজ করত। মেয়েদের নির্দিষ্ট পরিমান কাপড় তৈরি করতে হত। সম্রাজ্যের প্রতিটি মানুষ সম্মানের সাথে তার শ্রমের বিনিময়ে উৎপাদিত শস্য সমান ভাবে উপভোগ করত।
ইনকাদের সমাজব্যবস্থা
আন্দিজের কোলে লুকানো ইনকারা অত্যন্ত সামাজিক। তারা সামাজিক রীতিনীতিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন। রাজা নিজের বোনকে বিবাহ করলেও সাধারণ ইনকাদের এমন বিধি ছিল না। অন্য যে কোন কন্যকে বিবাহ করতে পারত। বিবাহের দিন বর-কনে পরস্পরের হাত ধরে চন্দন বিনিময় করত। তাদের বিয়েতে সামাজিক ভোজ হত। রাজ্যের সুন্দরী মেয়েদের অনেক সময় রাজার উপপত্নী করার জন্য পাঠানো হত।
ইনকাদের পোষাক
অভিজাতরা পোষাকের সাথে পরত ধাতুর প্রতীকী লকেট এবং রাজা নানা ধরণের অলঙ্কার ধারণ করত।মেয়েরা এক ধরনের ভারি চাদর জাতীয় পোষাক দিয়ে শরীর আবৃত করত। শীতপ্রধান এলাকায় পশুর চামড়ার পোষাক পরলেও গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার জন্য হালকা সূতিবস্ত্র তৈরি করা শেখে। তবে সকল পোষাকই ছিল সেলাইহীন। পুরুষরা লম্বা ধুতির মত সুতির পোষাক পরত। সকলে লামার চামড়ার চপ্পল জাতীয় উপকরণ ব্যবহার করত। পুরুষদের শরীরে পোষাক পরার রীতি ছিল না।
ইনকাদের স্থাপত্য-কৌশল
ইনকারা পাথর, মাটি, ঘাস ইত্যাদি দিয়ে ঘরের দেয়াল তৈরি করত। কাদামাটি, খড় ও ঘাস দিয়ে দোচালা বা চারচালা ছাদ তৈরি করত। ধনী পরিবারগুলি বড় বড় প্রাসাদ তৈরি করে বসবাস করত। মাচুপিচু নগরীটি ছিল তাদের সভ্যতার অন্যতম স্থাপত্য কৌশল। দুই পর্বতশৃঙ্গের মধ্যবর্তী বন্ধুর উপত্যকার ভিতরে পাহাড়ের গায়ে ধাপে ধাপে এই শহর তৈরি করা হয়েছিল।
এখানে ছিল দীর্ঘ সিঁড়ি পথ। কৃষিভুমি, জলনিষ্কাষণ এবং পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা ছিল বিশেষ ব্যবস্থায় তৈরি। যোগাযোগের জন্য প্রধান ব্যবস্থা ছিল সড়ক পথ। পহাড়ী অঞ্চলে এই পথ তৈরি করা হত সিঁড়ির মাধ্যমে। পুরো সাম্রাজ্যে ১৪ হাজার মাইল সড়ক পথ তৈরি করা হয়েছিল। এই পথ ছিল মূলত পায়ে চলার জন্য। তবে গাড়ি চালানোর জন্য রাস্তাও ছিল।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url