গুগল কনটেন্ট পলিসি

প্রতিটি কাজেরই কিছু নীতিমালা থাকে ঠিক তেমনি গুগলের ও কনটেন্ট লেখার পলিসি ও কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে। এগুলি মেনে চললে একজন ভাল প্রফেশনাল ব্লগার হওয়া সম্ভব এবং আজীবন এখান থেকে নিরাপদে আয় করা সম্ভব। আসুন এগুলি জেনে নিই।

গুগল কনটেন্ট পলিসি

যাদের একটি ব্লগ ওয়েবসাইট আছে তাদের জন্য আয় করার একটা প্লাটফরম হচ্ছে আর্টিকেল লেখা। বর্তমানে এটি ব্লগারদের জন্য আয় করার সবচেয়ে প্রচলিত একটা লাভজনক মাধ্যমে পরিনত হয়েছে। ফেসবুক পেজ বা যে কোনো সোস্যাল মিডিয়া পেজ ব্যবহার করেও আয় করা যায়। কোন কোন কনটেন্ট গুগল সাপোর্ট করে বা সাপোর্ট করেনা বা যে কোন বিষয় নিয়ে লেখা লেখি করা যায়, তবে তার মধ্যে এমন কোন বিষয় আছে যে গুলি নিয়ে লেখা-লেখি করতে পারবে কি না সেগুলি গুগল কনটেন্ট পলিসিতে আলোচিত বিষয় গুলি নিয়ে আজকে জানবো।

যে সকল কাজ করলে গুগল কি কি ব্যবস্থা নিতে পারে-

Blogger হলো নিজস্ব মতামত তুলে ধরে এবং বিভিন্ন মানুষের সাথে যোগাযোগ তৈরি করে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার আদর্শ পরিসেবার ভিত্তি। এই কনটেন্ট সেন্সর করলে সেই আদর্শের বিরোধীতা করা হয়। সেই সব সীমাবদ্ধতাই রাখা হয়েছে যা আইনি প্রয়োজনীয়তা মেনে চলে এবং সামগ্রিকভাবে আমাদের পরিসেবা উন্নত করতে সাহায্য করে।

Blogger এর কমিউনিটি নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছে এমন অভিযোগ থাকলে লিংক ব্যবহার করে অভিযোগ জানানো যায়। নিচে উল্লেখিত নীতিগুলো প্রয়োগ করার সময় শৈল্পিক, শিক্ষামূলক, ডকুমেন্টারী বা বৈজ্ঞানিক আলোচনা সংক্রান্ত কনটেন্ট যেখান থেকে সাধারন মানুষ উপকৃত হয় সেগুলির ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্থা না ও নিতে পারে।

প্রাপ্ত বয়স্কদের কনটেন্ট

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট এর জন্য অবশ্যই ‘প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য’ কথাটা উল্লেখ থাকতে হবে। ব্লগে যদি এই ধরনের সতর্কতা দেখানো হয় তা হলে তা কৌশলে এড়িযে যাওয়ার বা বন্ধ করার চেষ্টা করবেন না । এটি সকলের সুরক্ষার জন্য দেয়া হয়।

এক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম আছে যেমন -
প্রাপ্ত বয়স্কদের কনটেন্ট দিয়ে অর্থ উপার্জন করা যাবে না।
বাণিজ্যিক পর্ণোগ্রাফি সাইটের বিজ্ঞাপন বা লিংক ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ষণ, অজাচার, পাশবিকতা, সমকামিতা সহ কোনও ধরনের অবৈধ যৌন কনটেন্ট শেয়ার করা বা লাইক দেয়া যাবে না।
কারও অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত নগ্নতা বা যৌনতাপূর্ণ ছবি বা ভিডিও পোস্ট করা যাবে না। কেউ করলে অভিযোগ জানানোর সুযোগ আছে।

বাচ্চাদের যৌন নির্যাতন ও শোষণ

  • বাচ্চাদের উপর যৌন নির্যাতন, শোষণ সম্পর্কিত কনটেন্ট তৈরি বা আপলোড করা যাবে না। ইন্টারনেটে এই ধরনের কনটেন্ট থাকলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
  • কোনো বাচ্চা বিপদে পড়তে পারে এমন কনটেন্ট তৈরি করা যাবে না। অনলাইনে বা অফলাইনে বাচ্চাদের সাথে যৌনতা বিষয়ক যোগাযোগ বা বন্ধুত্ব করা যাবে না।
  • কোনো বাচ্চার অন্তরঙ্গ মহুর্তের ছবি ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল করা যাবে না।
  • অপ্রাপ্ত বয়স্ককে যৌনতা মূলক প্রচার যা তাকে উৎসাহিত করে এমন কিছু করা যাবে না।
  • বাণিজ্যিক কারনে যৌন শোষণের উদ্দেশ্যে বাচ্চাদের দিয়ে কোন বিজ্ঞাপন করা যাবে না।
  • উপরিউক্ত নীতিমালা না মানলে এ ধরনের কনটেন্ট সরিয়ে ফেলা এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে জানানো, এ্যক্সেস সীমিত করে দেয়া এবং একাউন্ট বন্ধ করে দেয়া সহ পুলিশকে জানানো হতে পারে।

বিপদজনক ও বেআইনি কার্যকলাপ

কনটেন্টগুলি শিক্ষামূলক, ডকুমেন্টারী, বৈজ্ঞানিক বা শৈল্পিক উদ্দেশ্যে দেওয়া সাধারণ তথ্য অনুমোদন করে কিন্তু কোন ক্ষতিকর বা বেআইনি কার্যকলাপে উৎসাহ দেয়া হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা হয়।
উত্যক্ত করা হুমকি দেয়া ও হয়রানি করা
এই ধরনের অভিযোগ থাকলে বা উৎসাহ দিলে উভয় পক্ষকে এজন্য গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অন্যান্য ক্ষতিকর বা বিপদজনক পরিস্থিতির কথা জানতে পারলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হয়।
ঘৃণাত্মক বক্তব্য বা মন্তব্য
কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বর্ণ বা বর্ণগত উৎস, ধর্ম, প্রতিবন্ধকতা, বয়স, নাগরিকত্ব, লিঙ্গগত পরিচয় বা চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্য যে গুলিকে পরিকল্পিতভাবে বৈষম্যমূলক বা প্রান্তিকীকরণের জন্য ঘৃণা বলে প্রচার করা হয়। এছাড়া ও হিংসাত্মক ঘটনা প্রচার করা বা সমর্থন করে এমন কনটেন্ট ও ঘৃণাত্মক বক্তব্যের আওতায় পড়ে।
কোন ব্যক্তি সম্পর্কে ভুল বা মিথ্যা বর্ণনা দেয়া
কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ছদ্দবেশ ধারণ না করা বা নিজেকে ভুলভাবে উপস্থাপন না করা। নিজের দেশের বাইরে অন্য দেশের ব্যবহারকরীকে কোনো রাজনৈতিক, সামাজিক সমস্যা সম্পর্কিত কনটেন্ট দেখানোর সময় প্রয়োজনীয় তথ্য ভুলভাবে দেখানো বা ইচ্ছা করে গোপন করে যাওয়া বিষয়গুলি এড়িয়ে চলা।
ম্যালওয়ার ও একই ধরনের ক্ষতিকর কন্টেন্ট
নেটওয়ার্ক, সার্ভার বা অন্য কোনো ডিভাইস অথবা অন্যান্য পরিকাঠামোর অপারেশনকে ক্ষতিগ্রস্থ করে এমন ম্যালওয়ার বা অন্য কোন কনটেন্ট ট্রান্সমিট করা যাবে না। এর মধ্যে রয়েছে ম্যালওয়ার, ভাইরাস, ধ্বংসাত্মক কোড,বা অন্যান্য ক্ষতিকর ও অবাঞ্ছিত সফটওয়ার বা অনুরুপ কনটেন্ট ট্রান্সমিট করার মত কাজ।
বিভ্রান্তি ছড়ানো বিষয়ক কনটেন্ট
এমন কনটেন্ট প্রকাশ করা যাবে না যা ব্যবহারকারীকে প্রতারিত, বিভ্রান্ত ও হতবুদ্ধি করে দিতে পরে। নাগরিক অধিকার, গণতান্ত্রিক প্রকৃয়াগুলিতে জনগণের অংশগ্রহন বা বিশ্বাসকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা না করা। সরকারী তথ্যের সাথে মেলে না এমন তথ্য দেয়া থেকে বিরত থাকা।
ভুল তথ্য বা ক্ষতিকারক স্বাস্থ্য পরিচর্চা সম্পর্কিত কনটেন্ট 
ভুল বা ক্ষতিকর উপদেশ, যেটি করলে ব্যক্তির মারাত্মক শারীরিক বা মানষিক ক্ষতি হতে পারে বা জনস্বাস্থ্যের ভীষণ ক্ষতি হতে পারে এমন কনটেন্ট আপলোড করা যাবে না।
মিথ্যা তথ্য প্রদানকারী মিডিয়া
প্রযুক্তি ব্যবহার করে বা অন্য কোনও উপায়ে মিডিয়া কনটেন্ট ব্যবহার করে মিথ্যা প্রচার করা যাতে শ্রোতা-দর্শকরা বিভ্রান্ত হয়ে যান এবং তাদের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। ভুল পথে চালিত করে এমন প্রচার করা যাবেনা।
সম্মতিবিহীন অনুপযুক্ত ছবি
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া নগ্নতা, যৌনতা সম্পর্কিত ছবি বা ভিডিও স্টোর বা শেয়ার করা যাবে না। কেউ এমন করলে অভিযোগ করা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে যায়।
ব্যক্তিগত ও গোপন তথ্য
অনুমতি ছাড়া কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না। এসব গোপনীয় তথ্যের মধ্যে আছে আমেরিকার সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর, ব্যাংক একাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ড নম্বর, স্বাক্ষরের ছবি এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নথির মতো সংবেদনশীল তথ্য।
ফিশিং
ফিশিং এর জন্য এই প্রোডাক্ট ব্যবহার না করা। যেমন এর মধ্যে রয়েছে পাসওয়ার্ড, আর্থিক বিবরণ ও সোস্যাল সিকিউরিটি নম্বরের মতো সংবেদনশীল ডেটার অনুরোধ বা সংগ্রহ।
নিয়ন্ত্রিত পণ্য ও পরিসেবা
নিয়ন্ত্রিত প্রোডাক্ট ও পরিসেবা বিক্রি না করা বা তার বিজ্ঞাপন বা বিক্রিতে কোন প্রকার সাহায্য না করা। যেমন এ্যালকোহল, জুয়া, ক্যাসিনো, ঔষধ, তামাক, আতশবাজি, অস্ত্র বা স্বাস্থ্য-চিকিৎসা সংক্রান্ত ডিভাইস।
স্প্যাম
স্প্যাম করা যাবে না। এর মধ্যে থাকতে পারে অবাঞ্চিত প্রচারমূলক বা ব্যবসায়িক কনটেন্ট, অটোমেটেড প্রোগ্রামে তৈরি হওয়া অবাঞ্ছিত কনটেন্ট, অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন কনটেন্ট অথবা এমন কোন কনটেন্ট যা সকলের মতো করে তৈরি করা।
হিংসাত্মক উপায় অবলম্বন করা সংগঠন ও হিংসাত্মক আন্দোলন
সেই সব সংগঠন ও আন্দেলনকে এই সব কনটেন্ট ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হয় না যারা হিংসাত্মক উপায় অবলম্বন করেছে বলে জানা যায়। এইসব গ্রুপের কর্যকলাপে সাহায্য বা তাদের স্বপক্ষে প্রচার হয় বা উৎসাহ প্রদান করে এমন কনটেন্ট ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয় না।
অপ্রাপ্তবয়স্কদের অননুমোদিত ছবি
অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্কদের ছবি পোস্ট বা শেয়ার না করা।
হিংসা ও রক্তপাত
মানুষ বা জীবজন্তুর ভয়ানক রক্তাক্ত ছবি বা ভিডিও যা ভীতির সৃষ্টি করে এমন ধরনের ছবি বা ভিডিও প্রচার করা যাবে না। কিছু ক্ষেত্রে কনটেন্ট এতটাই হিংসাত্মক হতে পারে যে যতই তথ্য প্রদান করা হোক না কেন সেটির অনুমতি দেয়া হয় না।
কপিরাইট
যে সাইট থেকে পাঠকরা অন্য লোকজনের কন্টেন্ট অনুমোদন ছাড়াই ডাউনলোড করতে পারেন সেই কন্টেন্টের লিংক দেয়া যাবে না।
Blogger- এর কনটেন্ট সম্পর্কিত নীতি এনফোর্স করা
কমিউনিটি নির্দেশিকা লঙ্ঘন হয়েছে বলে সন্দেহ হলে সেটি অটোমেটিক সরিয়ে নেয়া হয় না। সেটি যাচাই বাছাই করে দেখা হয়। নির্দেশিকা লঙ্ঘন হলে এক বা একাধিক ব্যবস্থা নেয়া হয়। সতর্কবার্তা দেয়া এবং পোস্টটি প্রকাশ করা থেকে সরিয়ে নেয়া, যাতে শুধুমাত্র ব্লগার নিজে এটি দেখতে পারে। আপত্তিকর কনটেন্ট মুছে দেয়া, ব্লগার একাউন্ট বন্ধ করে দেয়া, গুগল একাউন্ট এ্যাক্সেস বন্ধ করে দেয়া এবং উপযুক্ত আইনি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো।

এডভান্স আর্টিকেল ফরমেটিং টেকনিকস

সব কাজেরই কিছু নিজস্ব কৌশল থাকে। এই কৌশলের করনে সবাই নিজ নিজ সাফল্য পেয়ে থাকে। ঠিক তেমনি বাংলা আর্টিকেল লেখার অনেক কৌশল আছে যেমন-
  • ইন্টারেস্ট বা পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখা
  • ম্যাজিক্যাল টাইটেল
  • আমি আপনি শব্দের ব্যবহার
  • অন্যান্য পেজের লিংকিং করা
  • একশন বাটন যোগ করা
  • SEO অপটিমাইজেশন
  • Adsence ad অপটিমাইজেশন

ইন্টারেস্ট বা পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখা : যারা আর্টিকেল বা কনটেন্ট পড়বেন তাদের আগ্রহ ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন ভাবেই যেন বিরক্তি না আসে সে জন্য কঠিন শব্দ বা ভাষা ব্যবহার না করে সহজ ও সরল ভাষায় লিখতে হবে।
ম্যাজিক্যাল টাইটেল : পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করার মত শুরুতেই একটা নজর কাড়া টাইটেল দিতে হবে। টাইটেল দেখেই যেন পড়তে আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
আমি আপনি শব্দের ব্যবহার : পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখতে না পারলে তো কেউ আর্টিকেল পড়বে না।আর না পড়লে তো আয় ও হবে না। পুরো পোস্ট পড়া পর্যন্ত পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য আমি আপনি শব্দের ব্যবহার করলে পাঠক মনে করবে আমি তার সাথেই কথা বলছি বা সে আমারই কথা বলছে এমন একটা আবহ তৈরি করতে হবে। এবং মুল বিষয়টি সব শেষে বলতে হবে যেন কনটেন্ট টি শেষ পর্যন্ত পড়ে।
অন্যান্য পেজের লিংকিং : আর্টিকেলের মধ্যে অবশ্যই লিংকিং থাকতে হবে। কারন লিংকিং থাকলে গুগল এর কাছে অনেক অথরিটিভ মনে হয় এবং র‌্যাংক করার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। লিংকে ক্লিক করলে একটা বিজ্ঞাপন চলে আসে এতে করে আয় বৃদ্ধি পায়। তাই যত বেশি লিংকিং দেয়া যায় ততই বিজ্ঞাপন দেখানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়।
এ্যাকশন বাটন : অন্যান্য লিংক চোখে না পড়লেও এ্যাকশন বাটন কিন্তু সবার চোখে পড়ে এবং ক্লিক করার আগ্রহ বেড়ে যায়। আয় করার সম্ভাবনা ও বেড়ে যায়।
SEO : এতক্ষণ আমরা যে সব নিয়ম-কানুন জানলাম তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল সঠিকভাবে SEO করা এবং Adsence এর অপটিমাইজেশন করা। এই দুইটা বিষয় এতই গুরুত্বপূর্ণ যে ওয়েবসাইটের আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আর্টিকেল লেখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি SEO এবং Adsence অপটিমাইজেশন সমান গুরুত্বপূর্ণ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url