চুল পড়া বন্ধের গোপন রহস্য
সৃষ্টির আদিকাল থেকেই নারী ও পুরুষের সৌন্দর্যে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে মাথার কাল চুল। নারীর পাশাপাশি বর্তমানে চুলের সৌন্দর্যে ফ্যাশন প্রিয় যুবকেরা পিছিয়ে নাই। তাই আজকে আমরা জানবো মাথার চুল পড়া বন্ধের গোপন রহস্য।
চুল তার কবে কার অন্ধকার বিদিশার নিশা, নারীর চুল নিয়ে কবিদের লেখার যেন শেষ নাই। খোলা চুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়নি এমন মানুষকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। রেশমি ঝলমলে চুল দেখে কেউ রচনা করেছে কবিতা, কাব্য আর উপন্যাস। চুলের সৌন্দর্য হচ্ছে অলংকার স্বরুপ। তাই চুল এক ধরনের সম্পদ ও বটে। বিশেষ করে নারীদের চুলের সৌন্দর্যের বর্ণনার যেন শেষ নাই।
তাই চুলের যত্নের ও যেন কমতি নাই। কেউ লম্বা চুল পছন্দ করে কেউ বিভিন্ন স্টাইলের চুলের জন্য পাগল। আসলে নারী বা পুরুষ উভয়েরই সৌন্দর্য ফুটে উঠে মাথার চুলে। এলোমেলো বাতাসে যখন চুলে ঢেউ খেলে তখন সেই চুলের সৌন্দর্যের ভাষা খুঁজে পাওয়া যায় না। শুধু সৌন্দর্য নয় সুন্দর চুল ব্যক্তিত্বের উপরও প্রভাব ফেলে। তাই চুলের সৌন্দর্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মেঘবরণ চুল না থাক, তাই বলে মাথা ভর্তি চুল তো আশা করা যায়! কিন্তু মাথায় টাক মোটেও আশা করা যায় না। অল্প বয়সে বা বিয়ের আগে টাক কখনই মেনে নেয়া যায়না। অবশ্য বয়স কালে কারও কারও মাথায় টাক বেশ মানিয়ে যায়। মাথার চুল পড়া বন্ধের গোপন রহস্য টা জানানোর আগে বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান গুলি জেনে নিই।
চুল পড়ার বিভিন্ন কারণ ও প্রতিকার
টাক পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এমন কিছু জিনিষ ব্যবহার করা জরুরি যা, চুলপড়া কমায় এবং চুলের বৃদ্ধিও বাড়ায়। যেমন - খাটি নারকেল তেল, আমলকি, ক্যাস্টর ওয়েল, লেবু এবং ডিমের মাস্ক। এগুলি দিয়ে ম্যাসাজ করলে মাথায় রক্তের প্রবাহ বাড়ে যা চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। চুলের আদ্রতা ফিরিয়ে আনতে এবং ভিটামিন বি ও প্রোটিনের জোগান বাড়াতে দই, লেবু, মধু আদর্শ। সপ্তাহে একবার শ্যাম্পু করার আগে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রায় সকলকে জীবনের কোন না কোন সময়ে চুল পড়ার সমস্যায় পড়তে হয়। চুল পড়ার অনেক কারণ আছে, যেমন-বংশানুক্রমিক চুল পড়ার ক্ষেত্রে খুব বেশী কিছু করার থাকে না। অ্যালোপেশিয়া এরিয়াটার মতো অটোইমিউন ডিসঅর্ডার থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ মতো চিকিৎসা নিলে চুল পড়া বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসতে পারে। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও চুল পড়ে যায়। পেট খারাপের সমস্যা থাকলে ও চুল পড়ে যায়।
অন্য কোনো সমস্যা বা উপসর্গ না থাকলেও হটাৎ করে দেখা যায় মাথার কিছুটা যায়গায় গোল হয়ে চুল উঠে ফাঁকা হয়ে গেছে। লোক মুখে বলতে শোনা যায় পোকাতে চুল খেয়ে ফেলেছে। রক্তের শ্বেতকণিকা হেয়ার ফলিককে আক্রমন করলে চুল পড়ে যায়। নারী পুরষ যে কেউ এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। তবে শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত বেশী হতে পারে। এই রোগটা অনেকটা জিনগত তবে ছোয়াচে নয়। দ্রুত ধরা পড়লে চিকিৎসায় ভালো হয়।
চুল পড়া বন্ধের আরও কিছু টিপস
- নারিকেলের দুধ ও তেল : নারকেলের তেলে ফ্যাট আছে যা চুলের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে। এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে চুল পুষ্টি পাবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে। চুলের স্বাস্থ্য বাড়াতে যে প্রোটিন ও পটাশিয়ামের প্রয়োজন হয় তারই যোগান দিবে এই দুধ। সপ্তাহে একদিন মাথায় লাগিয়ে আধা ঘন্টা রাখলেই হবে।
- এলোভেরা জেল : চুল পরিস্কার করে ধুয়ে এই জেল চুলে লাগাতে হবে।চুলের স্বস্থ্য ভালো হবে এবং চুল পড়া বন্ধ হবে। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহারই যথেষ্ট।
- দই, মধু ও লেবুর প্যাক : চুলের আদ্রতা ফিরিয়ে আনতে এবং ভিটামিন বি ও প্রোটিনের জোগান বাড়াতে সপ্তাহে একবার লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
- মেথি : মেথি বাটা দই ও মধুর সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগানো যায় এবং শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
- নিম পাতা : নিম পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে পানিটা ঠান্ডা করে সপ্তাহে একবার চুলে শ্যাম্পু করার পর এই পানিতে চুল ধুয়ে নিলে চুলের খুশকি ও ইনফেকশন বা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে সমাধান হতে পারে।
বর্তমান সময়ে চুলের আগা ফাটা সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে। অতিরিক্ত শ্যাম্পুর ব্যবহার, অনিয়মিত আঁচড়ানো পুষ্টিহীনতা, চুল কালি করা এবং বিভিন্ন ধরনের কেমিকেল মিশ্রিত ভেজাল তেল ব্যবহার করার ফলে চুলের আগা ফাটা সমস্যা দেখা দেয়। যত্ন নিলে ঠিক হয়ে আবার কিছুদিন পর ফিরে আসে। তবে নিয়মিত ভাবে চুলের যত্ন নিতে হবে এবং সঠিক খাওয়া-দাওয়া সহজেই এ সমস্যার সমাধান হতে পারে।
জবা ফুলের হেয়ার প্যাক চুলের আগা ফাটা রোধে অত্যন্ত কার্যকর। নারকেল তেল হালকা গরম করে তেলের উপর জবা ফুল এবং নিম পাতা দিয়ে ৭/৮ মিনিট হালকা আঁচে গরম করে মিশ্রণ টি ঠান্ডা করে চুলে ব্যবহার করলে অত্যন্ত কার্যকর ভাবে চুলের আগা ফাটা দুর হবে।
সবচেয়ে সহজ ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন
গরম তেল : চুলের দৈর্ঘ অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমানে অলিভ ওয়েল অথবা নারকেল তেল গরম করে মাথায় ম্যাসাজ করতে হবে। চুলের আগাতে ও লাগাতে হবে। প্রায় এক ঘন্টা চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
কলা : চুলের যত্নে কলার ব্যবহার খুবই কার্যকর একটি উপাদান। কলাকে বলা হয় প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। কলা সরাসরি চুলে লাগানো যায় আবার কলা, মধু ও টক দইয়ের পেস্ট ও ব্যবহার করা যায়।
মরোক্কান ওয়েল : এই তেল চুলকে নরম ও স্বাস্থ্যবান করতে দারুন কার্যকর। এটি চুলের প্রয়োজনীয় ভিটামিন যোগান দিয়ে চুলের ড্যামেজ কমাতে সাহায্য করে। শ্যাম্পু ব্যবহার করার পর চুল শুকিয়ে এই তেল ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
মধু : প্রাকৃতিক গুণে সমৃদ্ধ মধু চুলের আগা ফাটা রোধ করে। টক দই ও মধুর মিশ্রণ তৈরী করে চুলের ডগায় লাগিয়ে আধা ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
অর্গান ওয়েল : অর্গান বীজ থেকে তৈরি এই তেল লিক্যুইড গোল্ড নামেও পরিচিত। এই তেলে ও চুলের আগা ফাটা রোধ হয়।
নারকেল মিল্ক মাস্ক : নারকেলের দুধ দিয়ে সম্পূর্ণ মাথায় এবং ডগায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করে এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে।
এভোকাডো প্রোটিন মাস্ক : এভোকাডো দিয়ে পেস্ট তৈরি করে এর সঙ্গে একটা ডিম ফেটিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এর সাথে অলিভ ওয়েল মিশিয়ে চুলে লাগাতে হবে। ১০ থেকে ২০ মিনিট পর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
যে সব খাবারে চুলের সমস্যার সমাধান হয়
- রঙ্গিন গাজর : গাজরে থাকে এ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ফাইবার ও ভিটামিন এ। এই গাজরে ত্বকের পাশাপাশি চুলের দারুন উপকার হয়।
- লেবু : লেবুতে ভিটামিন সি থাকায় চুল মসৃণ হয়। প্রতিদিন খাবারের তালিকায় লেবু রাখা জরুরী।
- দুধ : দুধ এন্টি এজিং হিসাবে কাজ করে। আদর্শ খাবার হিসাবে দুধের বিকল্প নাই।
- মাছ : ছোট বড় সব রকম মাছে ভিটামিন ই এবং প্রোটিন থাকে। এতে চুল লম্বা করার পাশাপাশি নানা সমস্যার সমাধান করে।
- গ্রীন টি : গ্রিন টি বা সবুজ চায়ের অনেক উপকারিতা। নিয়মিত গ্রিন টি পান করা উচিত। এটি এ্যান্টি এজিং এর কাজ করে।
- বাদাম : প্রতিদিন বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন এতে চুলের ঘনত্ব বাড়ায়।
- পানি : প্রতিদিন নিয়ম মাফিক তিন থেকে চার লিটার পানি খাওয়া জরুরী।
- টমেটো : টমেটোতে থাকে ভিটামিন, মিনারেল ও এ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বক ও চুলের সমস্যার সমাধান করে।
- আমলকি : একশত ভাগ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা চুলের সৌন্দর্যের পাশাপাশি চুল পড়া ও বন্ধ করে।
- মিস্টি আলু : এতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে যা চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়।
যে কোন দীর্ঘ মেয়াদি শারীরিক অসুস্থতা যেমন টাইফয়েড, যক্ষা, রক্তস্বল্পতা, ওজন কমে যাওয়া, হজমের সমস্যা এমন কি মূত্রনালির সমস্যা ইত্যাদি কারনে চুল পড়তে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত মানষিক চাপ, কর্মব্যস্ততা, খুশকি, অতিরিক্ত ডায়েট ও পুষ্টিহীনতার কারণে ও টাক হতে পারে। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১২৫ টির মত চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু এর চেয়ে যখন বেশি চুল পড়বে এবং আর গজাবেনা তখনই চিন্তিত হতে হয়।
গর্ভাবস্থা, মেনোপজের পর বা অনিয়মিত মাসিক বা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অতিমাত্রায় ভিটামিন এ গ্রহণ করলে চুল পড়ে যায়। এখন করণীয় হলো, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওজন কমাতে হবে। চাপমুক্ত থাকতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। খাবারে অনিয়ম করা যাবে না। অসুস্থ হলে হাই প্রোটিন খাবার খান। রক্তশুণ্যতা দুর করতে হবে। এমনিতেই অসুখ হলে চুল পড়ে তবে চুল আবার গজায়। দুশ্চিন্তার কারন নাই নিয়মিত চুল পরিস্কার রাখতে পারলে অনেকাংশে চুল পড়া বন্ধ হবে।
আরও কিছু পরামর্শ জেনে নিন
মাথার চুল পড়া বন্ধের গোপন রহস্যের কথা বলার আগে কয়েকটি উপায় জেনে নিন।
ঝিঙার গুঁড়া : নারকেল তেলের মধ্যে ঝিঙার গুড়া গরম করে ঠান্ডা করার পর ১৫ মিনিট মাথায় ম্যাসাজ করুন। অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
পেয়ারা পাতা : পেয়ারা পাতা বেটে পানিতে মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এতে মাথার চুলের টাক সমস্যার সমাধান হবে।
লাউয়ের রস : লাউ বেটে রস বের করে মাথায় ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
আখরোট : আখরোট পানিতে ফুটিয়ে এর রস বের করে হালকা গরম অবস্থায় মথায় ম্যাসাজ করুন। চুল পড়া অনেক কমে আসবে।
আমের বীজ : আমলকি গুঁড়ার সাথে আমের বীজের গুঁড়া মিশিয়ে পানি দিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করে মাথায় লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এতে চুল পড়া অনেক কমে যাবে।
চুল পড়া বন্ধের গোপন রহস্য
কোনো ঔষধ নয় , কোনো ডাক্তার ও নয়, এমন কি কোনো টাকা-পয়সার ও প্রয়োজন হবে না, হাতের ছোয়ায় চুল পড়া বন্ধ হবে শুধুমাত্র দুইটা অভ্যাসের মাধ্যমে। জীবনে অনেক চেষ্টা - সাধনা করেছেন কিন্তু আশানুরুপ ফল পাননি তাই কেনো কিছুতে আর বিশ্বাস নাই। হতাশ হয়ে বসে না থেকে অতি সহজ ও সরল মাত্র দুইটা অভ্যাস গড়ে তুলুন।
এক নম্বর অভ্যাস হল-
সকাল, বিকাল ও রাতের খাবারের ২/৩ মিনিট পর হাতের আঙ্গুলের মাথা দিয়ে মাথার চুলের গোড়া ৫/৭ মিনিট ধরে ম্যাসেজ করা। আমাদের খাবারের পর খাবার হজম করার জন্য পাকস্থলিতে প্রচুর পরিমানে রক্ত সরবরাহ বেড়ে যায় ফলে মাথায় অক্সিজেনের অভাবে মাথা গরম হয়ে যায়। গরম মাথা চুলের গোড়া দুর্বল ও ক্ষতি করে এবং চুল পড়ে যায়। এ জন্য খাবার পর প্রতিদিন ৩ বার করে ম্যাসাজ করলে মাথায় রক্ত সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে চুলের গোড়া শক্ত হতে থাকে এবং একসময় চুল পড়া বন্ধ হয়।
দ্বিতীয় অভ্যাস -
ঠিক একইভাবে প্রতিদিন গোসলের পর হাতের আঙ্গুলের মাথা বা আগা দিয়ে চুল সম্পূর্ণভাবে শুকানো পর্যন্ত ম্যসাজ করা বা চিরুনি করার মত করে চুল শুকিয়ে নেয়া। আমরা গোসল করে চুল মুছে ফেলার পরও চুলের গোড়ায় পানি জমে থাকে। এভাবে প্রতিদিন চুলের গোড়া ভিজা থাকতে থাকতে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে এক সময় চুল পড়া শুরু হয় এবং মনের অজান্তেই মাথায় টাক দেখা দেয়।
বিনা পয়সার এই চিকিৎসার কথা শুনে হয়তো অনেকেই বিশ্বাস করবেন না। কারণ বহু কিছু করে চুল পড়া বন্ধ করতে পারেন নি আর ম্যাসেজেই চুল পড়া বন্ধ হবে ? এমন প্রশ্ন হওয়া টাই স্বাভাবিক। এটা পরীক্ষিত একটা পদ্ধতি, শুধু বিশ্বাস করে এই অভ্যাস টা গড়ে তুলুন। ইনশাআল্লাহ নিশ্চিত ফল পাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url